• বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪২৯

সারা দেশ

কেরানীগঞ্জে হজযাত্রীদের টাকা আত্মসৎ করে পালিয়ে যাওয়া প্রতারক ইমেগ্রেশন থেকে গ্রেফতার

  • এরশাদ হোসেন, কেরানীগঞ্জ (ঢাকা)
  • প্রকাশিত ২২ মার্চ ২০২৪

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি:

কেরানীগঞ্জে ১৩৭ হজযাত্রীর হজের প্রায় ৬ কেটি টাকা আত্মসাৎ করে বিদেশ পালিয়ে যাওয়া এজেন্সি মালিক মাওলানা ফয়জুর রহমান (৪৫) কে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে ১ টার দিকে দুবাই থেকে দেশে ফেরার পর বিমানবন্দর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। খবর পেয়ে রাত আড়াইটার দিকে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ইন্সপেক্টর ( তদন্ত) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খালেদুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ গিয়ে তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। শুক্রবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, কেরানীগঞ্জে ১৩৭ জন হজযাত্রীর প্রায় ৬ কোটি টাকা নিয়ে আত্মগোপন করে এজেন্সি মালিক ফয়জুর রহমান। এ ঘটনায় হজযাত্রী জাকির হোসেন ২৫ ফেব্রুয়ারি কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খালেদুর রহমান জানান, মামলার পর আদালতের নির্দেশে ফয়জুরের ব্যাংক একাউন্ট ফ্রিজ করা হয়, যদিও সেখানে মাত্র ৭৩ লাখ টাকা সর্বশেষ জমা আছে। পাশাপাশি বিমানবন্দরে তার পাসপোর্ট তল্লাশি করে জানা যায়, ওইদিনই (২৫ ফেব্রুয়ারি) সে বাহরাইন চলে গেছে। তার পাসপোর্ট আমরা অবজেকশন দিয়ে রেখেছিলাম। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে সে দুবাই থেকে এমিরেটস এয়ারের একটি বিমানে ঢাকায় পৌছানোর পর বিমানবন্দর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে আমাদের খবর দেয়।

তিনি আরও জানান, প্রথমে সে বাহরাইন যায়। সেখান থেকে সৌদি আরব হয়ে দুবাই যায়। দুবাই থেকে সে বাংলাদেশে আসে।

পালানোর পর দেশে ফিরে আসার বিষয়ে ফয়জুর পুলিশকে বলেছে, হজযাত্রীর টাকা আত্মসাৎ করাটা তাকে মানসিক পীড়া দিচ্ছিল। সে একা ঘুমাতে পারতো না। এছাড়াও সে ভেবেছিল, এতো দিনে হয়তো পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেছে। দেশে আসার পর কোথাও আত্মগোপনে যাওয়ার ইচ্ছে ছিল। সে প্রায় ৬ কোটি টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করেছে। আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আদালতে পাঠাবো।

জানা গেছে, ফয়জুর রহমানের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার পাটুলী এলাকায়। বাবার নাম আব্দুল কুদ্দুস। ফয়জুর রহমান জিনজিরা গোলজার বাগ মসজিদ মার্কেটের ৩য় তলায় 'নজরুল এয়ার ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেলার্স' নামে হজ এজেন্সি খুলে ১০ বছর ধরে লোকজনকে হজে পাঠাতেন। পাশাপাশি স্থানীয় রহমতপুর হাফেজিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতেন। এক সময় ওই মাদ্রাসার ছাত্র ছিলেন তিনি।

জাকির হোসেন, ওয়াহিদ, ফারক সহ একাধিক ভুক্তভোগী হজযাত্রী জানান, তারা যে দুর্ভোগে পড়েছেন সেটা যেন কোন হজযাত্রীর সঙ্গে না হয়। পাশাপাশি দ্রুততার সাথে আসামীকে গ্রেফতার করায় তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads